Halloween party ideas 2015



একটি পাখী রোজ আমার জানালায়
আস্তে এসে বসে, তাকায় আশেপাশে।
কখনো দেয় শিস, বাড়ায় গলা তার;
আবার কখনোবা পাখাটা ঝাপটায়।

পালকে তার আঁকা কিসের ছবি যেন,
দু’চোখে আছে জমা মেঘের স্মৃতি কিছু;
নদীর স্বপ্নের জলজ কণাগুলি
এখনো তাঁর ঠোটে হয়তো গচ্ছিত।

কাউকে নীড়ে তার এসেছে ফেলে বুঝি?
হয়তো সেই নীড়, আকাশই আস্তানা।
তাই তো চোখ তার এমন গাঢ় নীল,
মেললে পাখা জাগে নীলের উৎসব।

যখন লিখি আমি টেবিলে ঝুঁকে আর
পড়তে বসি বই, তখন সেই পাখি
চকিতে দোল খায় আমার জানালায়-
খাতার পাতা জুড়ে ছড়িয়ে দেয় খুশি।

আমার মৃত্যুর পরেও যদি সেই
সুনীল পাখি আসে আমার জানালায়,
আবার শিস দেয়, আমার বইখাতা



যদি সে ঠোকরায়, দিও না বাধা তাকে।


সকালে সোনার আলো করে ঝিকমিক,
সবুজ ঘাসের শিশির করে চিক চিক ।
ক্ষণে ক্ষণে শীত আর শীতল অনুভূতি,
জানালার ধারে এসে, কাপে প্রজাপতি



সোনা নয় রুপা নয় জ্বলে ঝিকি মিকি,
বিন্দু বিন্দু শিশির গুলো চেয়ে চেয়ে দেখি।
সাদাকাল নীল দিয়ে আকাশ কেমন সাজে,
আমার মনে গহীন বনে সুরের কঙ্কন বাজে।

চারিদিকে পাখিসব করে রব কল-কাকলী,
সূর্যের আলো মেঘের সাথে করছে মিতালী।
কুয়াশায় ঢাকা ভোরে পড়ছে শিশির ঘাসে,
সূর্য মামা হেলে দূলে দেরী করে আসে।      




গুনে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়। 
রূপে লাবন্যে মাধুরী ও শ্রীতে হুরী পরী লাজ পায়।। 

নর নহে, নারী ইসলাম পরে প্রথম আনে ঈমান, 
আম্মা খাদিজা জগতে সর্ব-প্রথম মুসলমান, 
পুরুষের সব গৌরবস্নান এক এই  মহিমায়।। 

নবী নন্দিনী ফাতেমা মোদের সতী নারীদের রাণী, 
যাঁর ত্যাগ সেবা স্নেহ ছিল মরূভুমে কওসর পানি, 
যাঁর গুণ-গাথা ঘরে ঘরে প্রতি  নর-নারী আজো গায়।। 

রহিমার মত মহিমা কাহার, তাঁর সম সতী কেবা, 
নারী নয় যেন মূর্তি ধরিয়া এসেছিল পতি সেবা 
মোদের খাওয়ালা জগতের আলা বীরত্বে গরিমায়।। 

রাজ্য শাসনের রিজিয়ার নাম ইতিহাসে অক্ষয়, 
শৌর্যে সাহসে চাঁদ সুলতানা বিশ্বের বিস্ময়। 
জেবুন্নেসার তুলনায় কোথায় জ্ঞানের তাপস্যার।। 

বারো বছরের বালিকা লায়লা ওহাবীব দলপতি 
মোদের সাকিনা জাহানারা যেন ধৈর্য মূর্তিমতী, 
সে গৌরবের গোর হয়ে গেছে আঁধারের বোরকায়।। 

আঁধার হেরেমে বন্দিনী হলো সহসা আলোর মেয়ে, 
সেই দিন হতে ইসলাম গেল গ্লানির কালিতে ছেয়ে 
লক্ষ খালিদা আসিবে, যদি এ নারীরা মুক্তি পায়।।








হে মোর রাণি!    তোমার কাছে হার মানি আজ শেষে।
আমার বিজয়-কেতন লুটায় তোমার চরণ-তলে এসে।
   আমার সমর-জয়ী অমর তরবারী
     দিনে দিনে ক্লানি- আনে, হ’য়ে ওঠে ভারী,

   এখন এ ভার আমার তোমায় দিয়ে হারি,
   এই হার-মানা-হার পরাই তোমার কেশে।।

     ওগো জীবন-দেবী।
     আমায় দেখে কখন তুমি ফেললে চোখের জল,
আজ বিশ্বজয়ীর বিপুল দেউল তাইতে টলমল!
আজ বিদ্রোহীর এই রক্ত-রথের চূড়ে,
বিজয়িনী!    নীলাম্বরীর আঁচল তোমার উড়ে,
   যত তৃণ আমার আজ তোমার মালায় পূরে’,
          আমি বিজয়ী আজ নয়ন-জলে ভেসে।।
Powered by Blogger.